জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

বুধবার, ৩ আগস্ট, ২০১৬

বাড়ছে ভাঙন কমছে পানি

গত কয়েকদিন থেকেই কমতে শুরু করেছে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, যমুনা, ঘাঘটসহ উত্তরাঞ্চলের নদীগুলোর পানি। পানির উচ্চতা বিপদসীমার নিচে নেমে এলেও ভাঙনের নতুন আতঙ্ক শুরু হয়েছে।
এলাকাবাসীর মতে, বন্যার পানি কমে এলে নদী ভাঙতে শুরু করে। এটাই প্রকৃতি। তবে সম্প্রতি যেকোনো বন্যার চেয়ে এবারের বন্যা বড়। তাই সব জায়গার মাটিই নরম হয়ে গেছে। কোথাও কোথাও ভাঙনেরও দেখা দিয়েছে। এজন্য পানি কমে নদীর সীমায় চলে আসলেই ভাঙনের ভয়াবহ আকার সৃষ্টি হতে পারে।
গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামের বিভিন্ন এলাকার বন্যা কবলিত জনপদের বয়স্ক নাগরিকরা বলছেন, নদীর গভীরতা কমে যাওয়ায় ভাঙন আগের চেয়ে বাড়ছে। এছাড়া অল্পতেই বন্যাও হচ্ছে।
বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে গবেষণালব্ধ জ্ঞান থেকে সরকারি কর্মকর্তা মো. শাহীনুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, নদীর গভীরতা থাকলে ভাঙে না, বন্যাও হয় না। সতেরো  শতকে এ অঞ্চলে নদী ভাঙন হতো না। কিন্তু একই শতকের শেষের দিকে ব্রহ্মপুত্রসহ অন্য নদীগুলোর তলদেশ ভরাট হওয়া শুরু হলে বন্যা প্রবণতা দেখা দেয়। নদীও ভাঙতে শুরু করে।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ষাটোর্ধ্ব আসগর আলীর বাড়ি গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায়। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, যমুনা ভাঙন শুরু করলে কিছুই রাখেনা। অতীতেও বন্যার পানি কমে এলেই ভাঙন শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, বাড়িতে পানি এসেছিল, এখন কমছে। তাই ভাঙন নিয়েই যতো ভয়।
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার রহমত আলী বলেন, বন্যা তো বেশি দিন থাকে না। সে ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা যায়। কিন্তু ভাঙন শুরু হলে সবই কেড়ে নেয় নদী।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের হিসাব অনুযায়ী, বুধবার (০৩ আগস্ট) ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ৩ সেন্টিমিটার নিচে নেমে এসেছে। আর ধরলার পানি ১২ সেন্টিমিটার নিচে এসেছে।
এদিকে গাইবান্ধায় যমুনার পানি বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার ও ঘাঘট নদীর পানি ৭ সেন্টিমিটার নিচে নেমে এসেছে।
এলাকাবাসীর ধারণা, এখন থেকেই ভাঙন প্রতিরোধে সরকারি-বেসরকারি প্রস্তুতি না নিলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সৃষ্টি হতে পারে।
জুলাইয়ে শুরু বাংলাদেশের উজানে ভারতের অংশে ব্যাপক বৃষ্টিপাতে সৃষ্টি হওয়া পাহাড়ি ঢলে ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, ধরলা, ঘাঘট, তিস্তাসহ উত্তরাঞ্চলের নদীগুলোর পানি হঠাৎ বাড়তে থাকে। এতে লাখ লাখ মানুষ বন্যা কবলিত হয়ে ব্যাপক ক্ষতির শিকার হন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন